December 22, 2024, 2:34 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত রাতে আলমডাঙ্গা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কুষ্টিয়া মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে থাকা মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। কিন্তু বিচারক রেজাউল করিম জামিন বাতিল করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। আটক এই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে সাংবাদিকের উপর হামলাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার পর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন কুষ্টিয়া শহরে বিক্ষোভ দেখায়। আর এরপরপরই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদ এর নের্তৃত্বে শহরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়। এসসময় বিএনপি নেতার ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান এসবি সুপার ডিলাক্স এর কাউন্টারে ভাঙচুরের সংবাদ সংগ্রহ করতে তাদের হামলায় গেলে দীপ্ত টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরাপার্সন হারুন অর রশিদ গুরুতর আহত হন। পরদিন ৬ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাদ আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র। এর পর থেকেই বিতর্কিত এই ছাত্র নেতা আত্মগোপনে ছিলেন।
কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, আলমডাঙ্গা থেকে সাদ আহমেদকে গেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলা রয়েছে।
পুলিশ বলছে, আলমডাঙ্গার বাবুপাড়া এলাকার আবু তালেব রওশন মাস্টারের বাড়ি থেকে গত রাতে তাকে প্রেফতার করা হয়। রওশন মাস্টার এলকায় জামায়াতের নেতা।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ইয়াসির আরাফাত তুষারকে সভাপতি ও সাদ আহাম্মেদকে সাধারণ সম্পাদক করে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়। বিভিন্ন অভিযোগ এবং মেয়াদাত্তীর্ণ হওয়ায় পুরো কমিটি এ বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপর কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের আর কমিটি গঠন হয়নি।
Leave a Reply